বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়ে পুনরায় সংস্থাটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
গত রোববার তিনি এ পদোন্নতি পান বলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সোমবার পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনি গত ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। আর ২০১১ সালের ২৫ জুলাই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন তিনি ।
পদোন্নতি পাওয়ায় সোমবার জেনারেল মঈনকে ব্রিগেডিয়ার সবিহ্ উদ্দিন আহমেদ সম্মেলন কক্ষে বাপবিবোর্ডের পক্ষ থেকে এক সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বোর্ডের সদস্যরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারি এবং আরপিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁর কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার তাঁকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু শহর এবং গ্রামের ব্যবধান কমিয়ে আনতে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করেন।
তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৯৮৪ সালে বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং) ডিগ্রী লাভ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১৯৮৪ সনের ২০ ডিসেম্বর লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন।
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমান্ড, স্টাফ এবং প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি মিলিটারী ইনষ্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং এমআইএসটি-তে ডীন হিসেবেও কাজ করেছেন।
জেনারেল মঈন ১৯৯৪-৯৫ সালে জাতিসংঘের ইরাক-কুয়েত মিশনে এবং ২০০৫-২০০৬ সালে জাতিসংঘের কঙ্গোতে শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করেন। কারিগরি-উদ্ভাবনী কার্যাবলীর জন্য ২০০০ সনে তিনি সেনা প্রধানের প্রশংসনীয় সম্মাননা পেয়েছেন।
সৈয়দপুর সেনানিবাসে ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে কর্মরত থাকাবস্থায় নিজস্ব কৌশল এবং পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতার মাধ্যমে ৩টি অচল/বাতিল ট্যাংক (T-62) Self Propelled (SP) Gun -এ রূপান্তর করা ছাড়াও Infantry Fighting Vehicle (IFV) এবং Armored Personnel Carrier (APC) তাঁর প্রত্যক্ষ পরিকল্পনা এবং তত্ত্বাবধানে সচল করা সম্ভব হয়েছিল।
পেশাগত কাজে মেজর জেনারেল মঈন চীন, হংকং, থাইল্যান্ড, কুয়েত, ইরাক, সৌদি আরব, কঙ্গো, জাপান, লাইবেরিয়া, মালয়েশিয়া, আইভরী কোস্ট, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ঘানা, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ড এবং আমেরিকা ভ্রমন করেন।
মেজর জেনারেল মঈন ১৯৬১ সালের ২ জানুয়ারী ফেনী জেলার দাগনভুঁঞা উপজেলার খুশিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২ কন্যা সন্তানের জনক।