জামালগঞ্জ কয়লাখনি থেকে ‘কোল বেড মিথেন’ (সিবিএম) পদ্ধতিতে মিথেন গ্যাস উত্তোলনের জন্য মঙ্গলবার থেকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার একজন পরিচালক জানান, প্রকল্প এলাকায় তিনটি কূপ খনন করা হবে। এ কাজের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাইনিং অ্যাসোসিয়েটস প্রাইভেট লিমিটেড।
এতে ব্যয় হবে ২৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। গত বছর ২১ জুন কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি করে পেট্রোবাংলা।
আগামী জুনের মধ্যে কূপ খনন করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চূড়ান্ত করা হবে। প্রতিটি কূপের গভীরতা হবে এক হাজার ১০০ মিটার।
এর মাধ্যমে কয়লার নমুনা সংগ্রহ, কয়লা স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি নির্ণয় করা হবে। নমুনা পরীক্ষা করা হবে ভারতে।
জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ কয়লাখনির মাটির অনেক গভীরে কয়লা আছে। উন্মুক্ত বা ভূ-গর্ভস্থ পদ্ধতিতে এ কয়লা উত্তোলন সম্ভব নয়।
বিশেষজ্ঞরা সিবিএম পদ্ধতিতে এ খনি থেকে গ্যাস উত্তোলনের পরামর্শ দেন। কয়লা স্তরের মধ্যে থাকা মিথেন গ্যাসকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে আহরণ করাকেই সিবিএম পদ্ধতি বলে।
গত বছরের ১৪ মে জ্বালানি বিভাগ প্রথমবারের মতো এ পদ্ধতি ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে পেট্রোবাংলার প্রস্তাব অনুমোদন করে। পেট্রোবাংলা নিজস্ব অর্থায়নে এ কাজটি করছে।
ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সালের এক জরিপে জামালগঞ্জে কয়লার সন্ধান পাওয়া যায়।
১৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা এ খনিতে কয়লা রয়েছে মাটির ৬৪০ থেকে ১ হাজার ১৫৮ মিটার গভীরে। মজুদের সম্ভাব্য পরিমাণ ১ হাজার ৫০ মিলিয়ন টন।
দেশের পাঁচ কয়লাখনির মধ্যে বর্তমানে একমাত্র বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে।